জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম - জিপিএফ আবেদন ফরম
প্রিয়ো পাঠক গণ এর আগের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি জিপিএফ কি এবং কিভবে জিপিএফ হিসাব খোলা হয় সেই সম্পর্কে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং জিপিএফ আবেদন ফরম সম্পর্কে। কিভাবে আপনি আপনার জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখে নিজে একটি একাউন্ট খুলতে পারেন।একটি নির্দিষ্ট নিয়মে এবং বিভিন্ন কাজ পাতির দ্বারা এই জিপিএফ একাউন্ট খুলতে হয়। তার চেয়ে বড় কথা আপনার একটি সরকারি চাকরি থাকতে হবে, তারপরেই এই জিপিএফ একাউন্ট খুলতে পারবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেই বিস্তারিত জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং জিপিএফ আবেদন ফরম সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম- জিপিএফ আবেদন ফরম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম
জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম বা সিস্টেম- GPF Account Approval করতে হলে Employee Type গেজেটেড হলে GOB Officer আর নন গেজেটেড হলে GOB Staff সিলেক্ট করতে হবে। subscription starting Fiscal year (salary) & subscription starting Fiscal period সিলেক্ট করে এনআইডি (NID) দিয়ে GO বাটনে ক্লিক করলে GP Account Pending ফরমটি দেখতে হবে।
Submitted Form Click Here এ Click করলে ফরমটি ডাউনলোড লোড হবে। Details Option এ সব তথ্য ঠিক থাকলে Approve করবে এ তথ্য ভুল থাকলে Send Back হবে। GPF Approval Option Ok করলে যে অটো নম্বর পড়বে সেটাই ১০ নম্বর ডিজিটাল নতুন জিপিএফ নম্বর। সনাতন পদ্ধতি এখন দূরে থাক। নতুন পদ্ধতিতে জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম আছে।
অফিসার গণ অনলাইনেই জিপিএফ আবেদন ফরম দাখিল করতে পারবেন। ফলে হিসাব রক্ষণ অফিস হতে সেটি অনুমোদন করিয়ে নিলেই জিপিএফ হিসাব খোলা শেষ। নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত গেজেটেড কর্মকর্তা গণ অর্থাৎ Self Drawing Officers (SDO) গণ তাদের জিপিএফ হিসাব নম্বর (Ibas++ Online digital gpf account opening)
তাদের আইবাস++ এর Self Drawing (SDO) আইডি থেকে এবং নন গেজেটেড কর্মচারী গণ তাদের ডিডিও এর আইডি হতে আইবাস++ সিস্টেম অনলাইন হতে ibas++ gpf online digital account খুলতে পারবে। জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং জিপিএফ আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
জিপিএফ আবেদন ফরম
জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে হলে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে হবে। প্রথমেই আসা যাক জিপিএফ বা সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল বা নিজের ভবিষ্যত অর্থ সম্পর্কে। এর জন্য সরকারি চাকরিতে যে সকল চাকরি জীবী রাজস্ব খাত হাতে বেতন পান তাদের মাসের বেতন হতে,
একটি নির্দিষ্ট অংশ কর্তন করে জমা করা হয়। চাকরি শেষে, মোট জমাকৃত অর্থ ও তার ওপর নির্দিষ্ট হারে সুদ সহ পরিশোধ করা হয়। এই জিপিএফ কি বা জিপিএফ কিস্তি হতে কি পরিমানে সুদ সহ টাকা পরিশোধ করতে হবে এই গুলো আমরা আস্তে আস্তে শিখে যাবো। জিপিএফ বা সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করনের পর বেতন হতে সর্বনিম্ন ৫% স্থিতি রাখা বাধ্যতা মূলক।
জিপিএফ এ জমাকৃত অর্থ একজন সরকারি কর্মচারীর জন্য একটি ভবিষ্যত তলবিল যেখান হাতে বিপদে পড়লে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। এই জিপিএফ এর একটি সুবিধা হল বিপদ আপদের সময় ঋণযুক্ত হয়ে তখন ঋণ তোলা যায়। এই ঋণের ওপর সাধারণত সুদ প্রদান করতে হয় না। শুধুমাত্র নির্ধারিত কিস্তির হারের এক কিস্তি অতিরিক্ত প্রদান করতে হয় যা নিজের হিসেবেই জমা থাকে।
নিজের জমা কৃত অর্থ আপনি আপনার বয়স ৫২ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে উত্তোলন করতে পারবেন না। তবে এই জিপিএস এর একটি নির্ধারিত অর্থ আপনার নামেই জমা থাকবে। জিপিএস কি জিপিএস কিস্তির কিভাবে হিসাব করতে হয় এই সম্পর্কে আরও নিচে আলোচনা করা হবে।
জিপিএফ হিসাব দেখার নিয়ম
জিপিএফ হিসাব দেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে কি করতে হবে দেখুন। এখন অনলাইনে জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং জিপিএফ আবেদন ফরম গুলো শেয়ার করবো। অনলাইনে জিপিএফ হিসাব দেখার নিয়ম খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া যা আপনি নিজেই সাহস করে চেষ্টা করতে পারেন। অনলাইনে জিপিএফ হিসাব দেখতে হলে নিচে উল্লেখ্যিত জিনিস গুলো লাগবে।
- একটি স্মার্টফোট /কম্পিউটার /ট্যাব (ইন্টারনেট ব্রাউজার করা যায় এমন যে কোন ডিভাইস)
- ইন্টারনেট (ব্রডব্যান্ড বা মোবাইল ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই)
- NID/ Smart NID Card number (পে ফিক্সেশন করার সময় যেটি ইএফটি করার জন্য ব্যবহার করেছেন।)
আপনার জিপিএফ হিসাব দেখার নিয়ম হিসাব বা দেখতে (www.cafopfm.gov.bd GPF Balance Ckeck bd 2022) লিখে সার্চ করুন। বর্তমানে অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করা যায়।এজন্য শুধু মাত্র আপনার এনআইডি ও মোবাইল নম্বর দিয়ে অনলাইন থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। অনলাইনে সাধারণত প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফ হিসাব দেখার নিয়ম নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা।
পূর্বে জিপিএফ তথ্য জানার জন্য আর্থিক বছর শেষে অর্থাৎ জুলাই মাসে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে জিপিএফ একাউন্ট স্লিপ সংগ্রহ করতে হতো এবং এ স্লিপ সংগ্রহ করতে উৎকোচ গুণতে হতো। যা বর্তমানে অনেক সহজ হয়ে গেছে এবং বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যায়। অনলাইনে আপনি আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন এবং মুনাফা জানতে পারবেন।
সরকারি চাকরি জীবীদের বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা বন্টনের জন্য ইনফটি পদ্ধতিটি আইবাস++ এর মাধ্যমে চালু করার পর জিপিএফ হিসাবে পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট শাখার অধীনে আনা হয়। তাই এখন থেকে পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট শাখা জিটিএফ ফান্ডের হিসাব নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ করবে। হিসাব রক্ষণ বিভাগের এই শাখাটি শুধুমাত্র পেনশন এবং জিপিএফ নিয়ে কাজ করবে।
এড্রেস হলো- www.cafopfm.bd ভিজিট করুন। জিপিএফ হিসাব দেখার নিয়ম আছে কিছু যেগুলো মেনে আপনি জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
জিপিএফ হিসাব খোলার আবেদন ফরম pdf.
একজন সরকারি কর্মচারীকে চাকরির দুই বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে জিপিএফ বা সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে অর্থ কর্তন করা বাধ্যতা মূলক। সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল বিধি মালা ১৯৭৯ অনুসারে তিনি চাইলে চাকরিতে যোগদান করার পরেই জিপিএস এর অর্থ কর্তন শুরু করতে পারেন। জিপিএফ এর অর্থের ওপর সরকার ১৩% মুনাফা দিয়ে থাকেন। যা দেশের কোন বিনিয়োগ পাওয়া সম্ভব নয়।
জিপিএফ নমিনি ফরম
ইতোমধ্যে আমরা জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে জিপিএফ হিসাব দেখা হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন নিম্নে আমি নমিনি ফরম টা উল্লেখ করে দিচ্ছি আপনি দেখে নিন।
জিপিএফ অ্যাকাউন্ট
জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো কি রকমের হবে নিম্নে দেখানো হলো-
- অ্যাকাউন্টস অফিসার তার আইডিতে ঢুকে জিপিএফ ম্যানেজমেন্ট এ যাবে।
- GPF Master Data.
- GPF Account Approval.
- GOB Officer of GOB Staff সিলেক্ট করতে হবে।
- Subscription Starting Fiscal Year (Salary) & Subscription Starting Fiscal Period সিলেক্ট করে।
- এনআইডি দিয়ে Go বাটন ক্লিক করে GPF account Pending ফরমটি দেখাবে।
- Submitted Form Click here এ click করলে ফরম টি ডাউন লোডা হবে।
- Details Option এ সব তথ্য ঠিক থাকলে Approve করবে এ তথ্য ভুল থাকলে Send Back হবে।
- GPF Approval Option Ok করলে যে অটো নম্বর পড়বে সেটাই ১০ নম্বর ডিজিটির নতুন জিপিএফ নম্বর।
জিপিএফ লোন ফরম
জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং জিপিএফ আবেদন ফরম সম্পর্কে ইতোমধ্যে আমরা অনেক কিছু জেনে গেছি। এবার জিপিএফ লোন সম্পর্কে কিছু কথা বলা যাক। জিপিএফ বা সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করনে পর বেতন হতে সর্বনিম্ন ৫% স্থিতি রাখার বাধ্যতা মূলক। জিপিএফ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার সময় আমার জেনেছি এর ব্যাপারে আরো বিস্তারিত।
জিপিএফ এ জমাকৃত অর্থ একজন সরকারি কর্মচারীর জন্য জন্য একটি ভবিষ্যত তহবিল যেখান হতে বিপদে পড়লে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। এই ঋণের উপর সাধারণত কোন সুদ প্রদান করতে হয় না। শুধুমাত্র নির্ধারিত কিস্তির হারের এক কিস্তি অতিরিক্ত প্রদান করতে হয় যা নিজের হিসাবেই জমা থাকে। নিজের জমাকৃত অর্থ আপনি আপনার বয়স ৫২ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত ভাবে উত্তোলন করতে পারবেন না।
এই জিপিএফ টাকা পয়সা আপনি কিভাবে চেক করবেন তা আমি এর আগের পোস্টে দেখিয়ে দিয়েছি। জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার জন্য আপনার কি কি দরকার হবে। কিভাবে আপনি আপনার ব্যালেন্স দেখতে পারবেন এই নিয়ে আগেই বলে দেওয়া হয়েছে। এখন জিপিএফ লোনের ফরমটি নিম্নে দেখানো হলো-
[21115]
ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url