ফোন রিসেট করার নিয়ম জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম! অ্যান্ডরয়েড ফোনের টিপস এন্ড ট্রিকস- ফ্যাক্টরি রিসেট কি? ও ফোন রিসেট করার নিয়ম নিয়ে আজকে আলোচনা করবো ইনশায়াল্লাহ! কারণ আপনি যখন বাজার থেকে একটি নতুন মোবাইল নিয়ে আসেন। আর সেটি দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে স্লো হয়ে যায়। তখন আপনার প্রিয় মোবাইলটিকে হালকা করার জন্য ফোন রিসেট করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন ফ্যাক্টরি রিসেট কি? সেটিং রিসেট, ফোন রিসেট এর কাজ কি? ফোন রিসেট করার নিয়ম, মোবাইল ফরমেট করার নিয়ম, ফোন রিসেট করবো কিভাবে? ফ্যাস্টরি সেটিং রিস্টোর করার কোড, মোবাইলে রিসেট দিলে কি হয়? ফোনের ফ্যাক্টরি রিসেট দিলে কি হয়?
ফোন রিসেট করার উপকারিতা, বাটন মোবাইল রিসেট, কিভাবে ফোন রিসেট করা যায়? ফোন ফরমেট করার পর কি হয়? মোবাইল ফ্লাশ করার নিয়ম, মোবাইলে ফ্লাশ মারলে কি হয়? স্যামসাং মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার নিয়ম ইত্যাদি আরো অনেক কিছু এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। তাই এই সকল বিষয় গুলো আপনি জানতে চাইলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পেইজ কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ ফ্যাক্টরি রিসেট কি - ফোন রিসেট করার নিয়ম - ফোন রিসেট করার উপকারিতা
ফ্যাক্টরি রিসেট কি - What is Factory Reset
What is Factory Reset? ফ্যাক্টরি রিসেট হল ফোনের একটি সেটিংস। এই সেটিং রিসেট এর মাধ্যমে একটি ফোন নতুন অবস্থায় যেমন ছিল ঠিক তেমনি অবস্থায় ফিরে যায়। ফ্যাক্টরি রিসেট পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার ফোনের সকল জঞ্জাল অর্থাৎ ফোনের সকল ইনস্টল করা অ্যাপ ও ফোন মেমোরিতে যা কিছু আছে, এর সব কিছু ডিলিট হয়ে যাবে। এর ফলে ফোনটি পুনরায় নতুনের মতো করে ব্যবহার করতে পারবেন।
রিসেট এর কাজ কি - ফোন ফরমেট করার পর কি হয়
ফোনের ফ্যাক্টরি রিসেট দিলে কি হয়? ফ্যাক্টরি রিসেট এর কাজ কি? এই প্রশ্নের উত্তর আগে আপনাকে জানতে হবে। আপনি যখন একটি নতুন Android ফোন ব্যবহার করেন, তখন দেখা যায় মাত্র দুই/এক বছরের মধ্যেই আপনার প্রিয় ফোনটির স্পিড ধীরে ধীরে কমে যায়। এর সাথে সাথে ফোনের যে ইন্টারনাল মেমোরি থাকে, সেটিতেও স্পেস রানআউট এর সমস্যা দেখা দেয়।
আর যখন আপনার ফোনে এই রকম সমস্যা দেখা দেয়, তখন আপনি আপনার ফোন থেকে অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ফাইল গুলো ডিলিট করেন। এতে করে আপনি মেমোরির মধ্যে কিছুটা স্পেস পেলেও আসল সমস্যা থেকে মুক্তি পান না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে আরো কিছু করতে হবে।
আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ফোনের সকল ডাটা ডিলিট করা ও ফোনের স্পিড বাড়ানোর জন্য ফোনে ফ্যাক্টরি রিসেট করা হয়। এর ফলে ফোনটি আবার পূর্বের অবস্থায় অর্থাৎ নতুন এর মতো অবস্থায় ফিরে যাবে। ফ্যাক্টরি রিসেট অর্থাৎ এই পদ্ধতিটিকে ফরমেটিং বা হার্ড রিসেটও বলা হয়। মোবাইলে রিসেট দিলে কি হয়? ফোন ফরমেট করার পর কি হয়? আশা করি তা বুঝতে পেরেছেন।
আবার অনেক সময় আপনার ফোনটি বিক্রি করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর এটি করলে আপনার ফোনের কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি অন্যের হাতে চলে যাবে। তাই এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনার ফোনে রিসেট দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
ফোন ফ্যাক্টরি দেওয়ার আগে করণীয় টিপস
ফোন ফ্যাক্টরি দেওয়ার আগে করণীয় টিপস আছে, সেই টিপস গুলো আগে ফলো করতে হবে। কারণ এই টিপস গুলো যদি আপনি ফলো না করেন, তাহলে ফোন রিসেট করার সময় আপনাকে অনেক প্রবলেমে পড়তে হবে। তাই এই সকল প্রবলেম থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে নিচের টিপস গুলো ফলো করতে হবে।
- গুগল একাউন্ট পাসওয়ার্ডঃ অনেকেই ফোন রিসেট করার সময় যে সমস্যাটিতে পড়েন, সেটি হলো গুগল একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড নিয়ে। কারণ, অনেকেই তাঁর ফোনে ব্যবহৃত জিমেইল এর পাসওয়ার্ড মনে রাখেন না। ফলে ফোন রিসেট করার সময় তাঁকে অনেক প্রবলেমে পড়তে হয়। এমন অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ফোনের গুগল একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।
- কনট্যাক্ট নাম্বার ব্যাকআপঃ আমরা অনেকেই ফোন ব্যবহার করার সময় যে ভুলটি করি, সেটি হল কনট্যাক্ট নাম্বার সেভ করা নিয়ে। অনেকেই কনট্যাক্ট নাম্বারটি আমরা সিমে সেভ না করে ফোনে সেভ করি। আর ফোন রিসেট দেওয়ার সময় এই সকল কনট্যাক্ট নাম্বার ডিলিট হয়ে যায়। তাই আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে কনট্যাক্ট নাম্বার ব্যাকআপ রাখতে হবে।
- ফোন মেমোরি ব্যাকআপ রাখাঃ একটি নতুন ফোন কেনার পর এটি ব্যবহারের সময় সব কিছু সংরক্ষণের জন্য ডিফল্টভাবে ইন্টারনাল মেমোরিতে সেভ থাকে। যেমন- মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি, ভিডিও করা, ডাউনলোড ফাইল, এডিট ফাইল ইত্যাদি সব কিছু ডিফল্টভাবে ইন্টারনাল মেমোরিতে সেভ হয়।
- মোবাইল চার্জঃ ফোন রিসেট দেওয়ার আগে আপনাকে আরো একটি বিষয়ের উপর গুরত্ব দিতে হবে, আর সেটি হলো মোবাইলে পর্যাপ্ত চার্জ রাখা। কারণ আপনি যখন ফোন রিসেট দেবেন, তখন এটি সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগবে।
আর আপনার ফোনে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ চার্জ না থাকে, তাহলে আপনার ফোনটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ফোন রিসেট দেওয়ার আগে আপনার ফোনে পর্যাপ্ত চার্জ থাকতে হবে।
প্রিয় পাঠক, ফোন রিসেট দেওয়ার আগে আপনাকে উপরোক্ত বিষয় গুলোর উপর গুরুত্ব দেওয়া একান্ত জরুরী। কারণ ফোন রিসেট দেওয়ার সময় এই প্রত্যেকটি বিষয় খুব সাবধানতার সহিত লক্ষ রাখতে হবে। আর তা না হলে আপনাকে অনেক সমস্যা পড়তে হবে।
ফোন রিসেট করার নিয়ম
ফোন রিসেট করার নিয়ম কি? এবার আসি এই প্রশ্নের সমাধানে। একটি অ্যান্ডরয়েড ফোন বিক্রি করার প্রয়োজন হলে কিংবা ফোন স্লো হয়ে গেলে ফোন রিসেট করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর তাই আপনাকে জানতে হবে ফোন রিসেট করার নিয়ম বা মোবাইল ফরমেট করার নিয়ম।
ফোনে ফ্যাক্টরি রিসেট করলে ফোনটি আবার নতুন অবস্থায় ফিরে যায়। আর এখন ফোন রিসেট করবো কিভাবে বা কিভাবে ফোন রিসেট করা যায় তা জানতে হলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। অ্যান্ডরয়েড ফোন কিভাবে রিসেট করা যায় - চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
- ফোন ফ্যাক্টরি দেওয়ার আগে করণীয় টিপস প্রথমে ফলো করুন।
- এরপর আপনার ফোনের সেটিংস অপশনে যান।
- সেখান থেকে System নামে একটি লিখা দেখতে পাবেন, এটির উপর ট্যাপ করুন।
- এরপর Reset বা Backup & Reset অপশনটি সিলেক্ট করুন।
- এরপর Erase All Data (Factory Reset) এই অপশনটি সিলেক্ট করুন।
- এরপর ফোনের পিন বা প্যাটার্ন চাইলে সেটি দিয়ে দিন।
- এরপর Delete All Data / Erase All Data এটির উপর ট্যাপ করুন।
- এখন আপনার ফোন থেকে সব কিছু ডিলিট হয়ে নতুন করে অন হবে। এখন অন হওয়ার সময় ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে জিমেইল দিয়ে লগিন করুন।
রিয়েলমি ফোন রিসেট করার নিয়ম, শাওমি ফোন রিসেট করার নিয়ম বা স্যামসাং ফোন রিসেট করার নিয়ম - এই সকল ফোন গুলোকে রিসেট করার জন্য উপরের নিয়ম গুলোকে আপনি একটু খেয়াল করলেই এই কাজটি করতে পারবেন।
শুধুমাত্র সেটিংস এ গিয়ে System না দেখতে পেয়ে হয়তো General Settings /General Management, About /About Phone এই অপশন গুলো দেখতে পাবেন। তখন আপনার ফোন থেকে এই অপশন গুলোর মধ্যে যে অপশনটি থাকবে, আপনাকে সেই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। ব্যাস এ টুকুই।
রিকভারি ব্যবহার করে ফোন রিসেট করার নিয়ম
অনেক সময় দেখা যায় যে আপনার ফোনে একেবারেই কাজ করছে না। এমন অবস্থায় আপনি কিভাবে ফোন রিসেট করবেন? চলুন দেখি কিভাবে এই কাজটি করবেন। হুম! এই কাজটি করার জন্য রিকভারি ব্যবহার করে ফোন রিসেট করার নিয়ম টি আপনাকে ফলো করতে হবে। নিচে নিয়মটি দেওয়া হলোঃ
- প্রথমে আপনার ফোনটিকে সুইচট অফ বা বন্ধ করুন।
- এরপর ফোনের Volume Down Button + Power Button এক সাথে চেপে ধরুন। যতক্ষুণ ফোন অন না হচ্ছে, ততোক্ষুণ এইভাবে ধরে রাখুন।
- এরপর Wipe Data / Factory Reset অপশনটি সিলেক্ট করে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট সম্পন্ন করুন।
তবে এই পদ্ধতিতে রিসেট করার সময় আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, রিকভারি মুডে যখন ফোন রিসেট করবেন, তখন ফোনের টাচস্ক্রিন কাজ করবে না। এজন্য তখন আপনাকে ফোনের ভলিউম আপ/ডাউন ব্যবহার করে নেভিগেশন করতে হবে ও পাওয়ার বাটন ব্যবহার করে অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
ফোন রিসেট করার উপকারিতা
ফোন রিসেট করার উপকারিতা কি এবার আসুন আমরা তা জেনে নিই। আমাদের প্রতিদিনের একটি প্রয়োজনীয় সঙ্গী হলো স্মার্টফোন। কারণ এই স্মার্ট ফোন ছাড়া যেন আমরা চলতেই পারি না। কিন্তু এই ফোনটি কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে যখন স্লো হয়ে যায়, তখন আর ঠিক মতো কাজ করে না।
ফোনটি অনেক ধীরে ধীরে কাজ করে, ফোনের ইনটার্নাল মেমোরিতে কোন কিছু রাখার জন্য আর কোন জায়গা থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি আপনার ফোনটিকে রিসেট করেন, তাহলে আপনি আবার আপনার ফোনটিকে নতুনের মতো অবস্থায় ফিরে পাবেন।
আবার ফোনে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন আপনার ফোন স্লো হয়ে যায়, তেমনি আবার ফোন মেমোরি ভর্তি হয়ে যায়। অ্যাপ গুলো বন্ধ করলেও তারা ভেতর ভেতর আপনার ফোনের র্যাম ব্যবহার করছে ও ব্যাটারী চার্জ ব্যবহার করতে থাকে।
এর ফলে আপনার ফোনের ব্যাটারী চার্জ বেশিক্ষুণ থাকে না। তাই ফোন রিসেট দিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ যখন আপনি ইনস্টল করে আবার ডিলিট বা আন-ইনস্টল করে দেন, তখন অ্যাপটি ডিলিট হলেও এর কিছু ফাইল আপনার ফোনে থেকেই যায়।
এর ফলে আপনার ফোন মেমোরি লোড হওয়ার সাথে সাথে ফোনটি স্লো হয়ে যায়। প্রিয় পাঠক, এই সকল সমস্যার জন্য আপনার ফোনটিকে দুই/এক মাসে অন্ততঃ একবার হলেও রিসেট দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে আপনি আপনার ফোনটিকে ব্যবহার করে স্বস্তি পাবেন।
মোবাইলে ফ্লাশ মারলে কি হয়
মোবাইলে ফ্লাশ মারলে কি হয়? ও মোবাইলে ফ্লাশ দিলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়? আসুন এইবার আমরা এগুলো জেনে নিই। মোবাইলে ফ্লাশ দিলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলোঃ
- মোবাইলে যদি সফটওয়্যার জনিত কোন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে মোবাইল ফ্লাশ দিলে সেই সকল সমস্যা চলে যায়।
- যখন মোবাইল খুব স্লো হয়ে যায়, তখন মোবাইল ফ্লাশ দিলে সেই মোবাইলটি আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। অর্থাৎ আবার মোবাইলটি ফাস্ট কাজ করে।
- মোবাইল ব্যবহার করার সময় যে কোন ধরণের ত্রুটি দেখা দিলে মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার পর সব ধরণের ত্রুটি চলে যায়।
- মোবাইল ফ্লাশ দিলে মোবাইলের সিকিউরিটি সুরক্ষিত থাকে।
- মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার পর Custom Rom Install করতে সহজ হয়।
- মোবাইলে ভাইরাস জনিত যেসব সমস্যা দেখা দেয়, মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার পর সব ধরণের Mobile Malware ধ্বংস হয়।
মোবাইল ফ্লাশ করার নিয়ম - কিভাবে মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয়
প্রিয় পাঠক, মোবাইল ফ্লাশ মারলে কি হয়? আশা করি তা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আসুন এবার আমরা জেনে নিই কিভাবে মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয়? আর স্যামসাং মোবাইল ফ্লাস দেওয়ার নিয়ম সহ যে কোন মোবাইল ফ্লাশ করার নিয়ম টি নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলোঃ
- আপনি যখন মোবাইল ফ্লাশ দিবেন, তখন এর আগে মোবাইলটি বন্ধ করে দিন বা সুইচড অফ করুন।
- এরপর মোবাইলে থাকা সিম কার্ড ও মেমোরি কার্ড খুলে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন এই অবস্থায় মোবাইলটি কোন ভাবে অন হয়ে না যায়।
- এখন আপনার মোবাইলের Volume Up Button + Power Button এক সাথে চেপে ধরুন। যতক্ষুন ফোনটি অন না হয়, এই ভাবেই চেপে রাখুন।
- এখন আপনার ফোনের স্ক্রিনে Recovery Screen দেখতে পাবেন। এখানে বেশ কিছু অপশন দেখতে পাবেন।
- সেই অপশন গুলো মধ্য থেকে Factory Reset বা Wipe Data এই অপশনটি দেখতে পেলে এটি সিলেক্ট করুন।
- এই অবস্থায় আপনার পোনের টাচ স্ক্রিনে কাজ করবে না। এজন্য ভয়ের কিছু নেই। আপনি মোবাইল ফ্লাশ দিচ্ছেন, তাই এমন হচ্ছে।
- এই অবস্থায় মোবাইলের স্ক্রিনের অপশন গুলো পরিবর্তনের জন্য Volume আপ/ডাউন বাটনের সাহায্যে এই কাজটি করতে হবে।
- এখন যে অপশনটি সিলেক্ট করতে চান, সেটির উপর কার্সর রেখে মোবাইলের Power Button প্রেস করুন।
- এখন আপনাকে আর কিছু করতে হবে না। দেখবেন কিছুক্ষুণের মধ্যেই মোবাইলটি নিজে থেকেই তার কাজ করতে শুরু করেছে।
- এরপর আপনি Recovery Screen দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনাকে Reboot System Now অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
- এখন আপনার ফোনটি Restart হবে।
- এখন কিছুক্ষুণ পরেই দেখবেন আপনার ফোনটি অন হয়ে গিয়েছে।
কিভাবে মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয় ও মোবাইল ফ্লাশ করার নিয়ম টি আশা করি ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। আর এই নিয়মে আপনি যে কোন অ্যান্ডরয়েড ফোন ফ্লাশ দিতে পারবেন।
ফ্যাক্টরি সেটিং রিস্টোর করার কোড
একটি অ্যান্ডরয়েড ফোনের অনেক গুলো ফ্যাক্টরি সেটিং রিস্টোর করার কোড থাকে। এর মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ও কমন কিছু ফ্যাক্টরি সেটিং রিস্টোর করার কোড নিচে দেওয়া হলোঃ
- IMEI Number দেখার কোড *#06#
- ফোনের সব তথ্য মুছে ফেলার জন্য ফ্যাক্টরি রিসেট কোড *2767*3855#
- ব্যাটারি সংক্রান্ত তথ্য জানতে কোড *#*#4636#*#*
- Wireless LAN চেক কোড *#*#232339#*#*
- ব্যাক লাইট ও ভাইব্রেশন চেক করার কোড *#*#0842#*#*
- টাচস্ক্রিন চেক করার কোড *#*#2664#*#*
- ক্যামেরা ইনফরমেশন কোড *#*#34971539#*#* এখানে ক্যামেরা ফার্মওয়্যার ও আপডেট অবশনটি ব্যবহার করবেন না। কারণ এতে করে মোবাইলের ক্যামেরা ফাংশন বন্ধ হয়ে যাবে।
- সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ইনফরমেশন কোড *#12580*369#
- Bluetooth চেক করার কোড *#*#232331#*#*
- র্যাম ভার্সন চেক করার কোড *#*#3264#*#*
শেষ কথা
আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল ফ্যাক্টরি রিসেট কি? ফোন রিসেট করার নিয়ম বা কিভাবে ফোন রিসেট করা যায়? বা মোবাইল ফরমেট করার নিয়ম - এই সকল বিষয় গুলো খুব সহজ ভাষায় আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আরো আলোচনা করা হয়েছে মোবাইলে রিসেট দিলে কি হয়? রিসেট এর কাজ কি?
আরো আলোচনা করা হয়েছে ফোন ফ্যাক্টরি দেওয়ার আগে করণীয় টিপস, ফোন রিসেট করার উপকারিতা। আরো জানতে পেরেছেন মোবাইল ফ্লাশ করার নিয়ম ও মোবাইলে ফ্লাশ মারলে কি হয়। আর মোবাইলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কোড, যেমন- ফ্যাক্টরি সেটিং রিস্টোর করার কোড।
তাই শেষ কথা হিসেবে বলতে চাই, ফোন রিসেট করার নিয়ম সংক্রান্ত আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন, যাতে অন্যেরাও পড়ে উপকৃত হতে পারে। এতক্ষুণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। (শওকত রাশেল).
ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url